Volume I, Issue I
Editorial statement:The journal is chiefly dedicated to publish authentic and enriched academic research papers, book reviews, thesis or dissertation and documentations. It gives an opportunity to the scholars who wish to exhibit their thoughts and works to the international platform. The main thrust of this journal is to encourage authentic,academic exploration of cultural, social, literary, linguistic diversity across East to West.This journal means to emphasize upon the authenticity of expressions quite related to the society, not just on abstruse research.
As one of the oldest and most notable districts of undivided Bengal, Nadia district was not only glorified for its excellent knowledge and spirituality of East India. The architectural style of the terracotta temple here was also unique. As a result, regional or independent architectural styles became predominant, detached from the central artistic tradition. ... So the temples were built one after the other in the style of Nadia's religious architecture, particularly under the patronage of the ruler or Zamindar, and in the style of terracotta architecture. The sculptures of the temples here are coherent and follow an attractive, elaborate painting motif. All these terracotta temples reflect the contemporary thoughts, motives, and culture of the remarkable artist Nadia. The emperors, especially Raghav Roy and Rudra Roy, played a significant role in Nadia's architectural style. But during the reign of Krishnachandra Roy, the greatest king of this dynasty, he introduced a distinct style of temple architecture instead of terracotta decoration. That is why the trend of building terracotta temples faded with his reign. This precious terracotta artefact from Nadia's temples has been neglected for centuries. I have tried to draw the attention of civil society and researchers to the history of these temples.
কারুশিল্পের অন্যতম প্রধান শাখা বয়নশিল্পের যেমন একটি বর্ণিল ও উৎসাহব্যঞ্জক ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনই এই বয়নশিল্পের সাথে যুক্ত শিল্পীদেরও একটি সমৃদ্ধ অতীত রয়েছে। এই বয়নের কাজ যিনি সমাধা করেন তিনি তন্তুবায়। তবে এই শ্রেণিকে চিহ্নিত করতে তাঁতি, জোলা, যুগী, কারিগর প্রভৃতি অভিধা ব্যবহার করা হলেও ... এদের মৌলিক কর্মকান্ড তাঁতকে কেন্দ্র করে। তাই এরা সকলেই তাঁতজীবী। কার্পাসজাত বস্ত্রশিল্পের সুতিকাগার ভারতবর্ষে বয়নের উৎকৃষ্টতম কেন্দ্র ছিল বাংলা। তাঁতশিল্প বাংলার সনাতন ঐতিহ্য এবং এর ধারক ও বাহক ছিলেন এখানকার তন্তুবায়কুল। একসময় বাংলার তন্তুবায়কুলের পারম্পরিক বয়ন কৌশলের দ্বারা সৃষ্ট ‘মসলিন’ সমগ্র পৃথিবীর বিস্ময় উদ্রেক করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু যে বাংলা সমগ্র ‘পৃথিবীর তাঁতঘর’ হিসেবে পরিগণিত হতো একসময়, সেই বাংলার তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার অধিকাংশই আলোচনার বাইরে থেকে গেছে। ফলে তাঁদের সম্পর্কে সামগ্রিক একটা চিত্র আমাদের সামনে ধরা দেয় না। তাঁদের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন হিন্দুপুরাণে কোথাও ভগবান শিবের মানসপুত্র শিবদাস এবং কোথাও বিশ্বকর্মাকে তন্তুবায়দের আদিপিতা বলা হয়েছে। ইতিহাসের ছিন্নপত্র পাতা থেকে জানা যায় যে, প্রাচীনকালে তন্তুবায় সমাজ ‘শূদ্র’ হিসাবে পরিগণিত হতেন। প্রকৃতপক্ষে তন্তুবায় সমাজ ‘নবশাখ’ শ্রেণির অন্তর্গত। বাংলার তন্তুবায়কুলের মধ্যে যেমন বিভিন্ন প্রকার শ্রেণিবিভাগ রয়েছে তেমনই রয়েছে গোত্র এবং পদবির বৈচিত্র্য। তাঁদের জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক কাঠামো ইত্যাদি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে। বাংলার এই তাঁতজীবী সম্প্রদায়কে নিয়ে যে সব আলোচনা হয়েছে তা হয় বস্ত্রশিল্পের অনুষঙ্গে, নয়তো জাতিকুলের প্রসঙ্গে। সেই সব অনুষঙ্গ-প্রসঙ্গ থেকে বাংলার তন্তুবায় সমাজের অতীত–ইতিহাসের সম্পর্কে সামান্য কিছু আলোকপাত করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে এই আলোচনায়।
নবদ্বীপের গঙ্গার দিকে থেকে যদি খানিক পূর্বদিকে যাওয়া যায়,তাহলে পাওয়া যাবে এক বর্ধিষ্ণু ব্রাহ্মণপ্রধান গ্রাম;বেলপুকুর।যার আদি নাম বিল্বপুস্করিণী।নবদ্বীপের ন'টি দ্বীপের সীমান্ত দ্বীপ হিসাবে পরিগণিত হয় এই গ্রামটি।আর পাঁচটা গ্রামের মতোই শান্ত ... জনজীবন,বয়ে চলা জলঙ্গীর স্রোতের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে আনুমানিক ৪০০ বছরের ঐতিহ্য এবং নিয়মে বাঁধা প্রতি ঘরে ঘরে কালীপুজোর এক রীতি।এছাড়া নবদ্বীপ শক্তি সাধনা ও তার সঙ্গে তন্ত্র সাধনার বৃহত্তর প্রসার কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত ছিল। শুদ্ধাচার শক্তি সাধনার পথপ্রদর্শক রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ ও তাঁর পিতা মহেশ্বর গৌড়াচার্য। কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ ১৭০টি তন্ত্র ও উপতন্ত্রের সার সংগ্রহ করেই রচনা করেছিলেন বৃহৎতন্ত্রসার। যেকারণে সাধারণের হৃদয় থেকে তান্ত্রিক, কাপালিকদের সম্পর্কে কয়েক শতাব্দী ধরে জমে থাকা ভীতি ও ঘৃণা দূর হতে থাকে এবং শক্তি আরাধনার প্রতি মানুষ ক্রমশ আকৃষ্ট হতে থাকে।(১) ক্ষুদ্র পল্লীতে একসময় বহু প্রগাঢ় পন্ডিতদের আবাসস্থান ছিল। নব্য-ন্যায়, স্মৃতি, ব্যাকরণ ইত্যাদি নানা বিষয়ে প্রচুর টোল ও চতুস্পাঠী নির্মিত হয়েছিল।
লোকশিল্প যে কোন দেশের লোকসংস্কৃতির একটি মূল্যবান সম্পদ। কেননা লোকশিল্প কলা যে কোন দেশ ও জাতির পরিচয়বাহী। বাংলার লোকশিল্প অতি প্রাচীন ঐতিহ্য মন্ডিত। ভারতীয় লোকশিল্পের ঐতিহ্যে পশ্চিমবঙ্গ বহু প্রাচীন ঐতিহ্যময় ... লোকশিল্পের ভান্ডার রূপে পরিচিত। লোকশিল্প লোকসংস্কৃতির অন্যতম শাখা। লোকসংস্কৃতির পরিধি বিস্তৃত ও ব্যাপক। লোকসংস্কৃতি হল ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পরম্পরাগত সৃষ্টি, যার মধ্যে গোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়। যার মধ্যে ঐ গোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি, সামাজিক পরিচয় ও মূল্যবোধ ধারাবাহিকতার সঙ্গে অনুভূতির মাধ্যমে সঞ্চারিত হয়। সামগ্রিকভাবে লোকসংস্কৃতিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে – ১) বস্তুগত লোকসংস্কৃতি ২) রূপায়ত লোকসংস্কৃতি। বস্তুগত লোকসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল লোকশিল্প যেমন– মৃৎশিল্প, শোলশিল্প, শঙ্খশিল্প, বাঁশের কাজ বা শিল্প, দারু তক্ষণ শিল্প, সরাপট শিল্প প্রভৃতি।
এখানে সতীনাথ ভাদুড়ীর কথাসাহিত্যের প্রেক্ষিতে অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষদের অবস্থানের কথা আলোচনা করা হয়েছে। আমরা স্বাধীনোত্তর কালের বাংলা সাহিত্যে অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষদের চালচিত্র বেশি করে পেয়ে থাকি। তবে প্রাগাধুনিক বাংলা সাহিত্যে বিশেষত মঙ্গল কাব্যেও আমরা এই শ্রেণীর মানুষদের পেয়েছি। ... দুর্ভাগ্যের বিষয় প্রথম দিকের বাংলা কথা সাহিত্যে সেভাবে এই শ্রেণীর মানুষদের আমরা পায় না। তারপর সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে বাংলা কথা সাহিত্যে অভিমুখ বদলে যেতে দেখেছি। আর সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র কল্লোল গোষ্ঠীর লেখকদের হাত ধরে । তাই বিশ শতকে এসে কল্লোল যুগের লেখকগোষ্ঠীদের আগমণে সাহিত্যে আমরা পালাবদল দেখে থাকি। এতকাল ধরে বাংলা সাহিত্য যে পথে চলতে অভ্যস্ত সেই চেনা পথে না গিয়ে এই যুগের লেখকেরা স্বতন্ত্র একটি পথ নির্মাণ করেন। তাদের হাত ধরে বাংলা সাহিত্যে শোষিত-বঞ্ছিত-লাঞ্ছিত অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষের কথা উঠে আসে। সাহিত্যের দরবারে যারা এতকাল ধরে উপেক্ষিত ছিল এরপরে তারা এসে ভিড় জমাতে শুরু করে। এইভাবেই বাংলা সাহিত্যে নিম্নবর্গীয় সমাজ, সংস্কৃতির কথা উঠে এসেছে। তাদের জীবন-জীবিকার কথা, প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকার এক অনবদ্য কাহিনি আমরা এই আখ্যানে পেয়েছি।